ঢাকা ০১:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসলামের জন্য ছেড়েছিলেন অভিনয় ॥ দেড় বছরের মাথায় ফের অন্তঃসত্ত্বা সানা খান Logo কলার খোসা রোজ লাগান, যৌবন উপচে পড়বে Logo শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরীমনি এবং দ্রুত প্রস্থান Logo যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দল জানালেন, কেমন পুরুষকে বিয়ে করলে আপনি সুখী হতে পারবেন Logo বিবাহিত অথচ স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমান যে দেশে Logo সাভারে কাপড়ের গোডাউনে আগুন, দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে Logo শাকিবের সাক্ষাতে মুগ্ধতা যেন কাটতে চাইছে না সৌমিতৃষার Logo ৫৩ ঘণ্টা পর শ্রমিক অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক Logo পাচার অর্থ উদ্ধারে নিয়োগ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ল ফার্ম Logo তিন দিনের সফরে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

 

ফাইনালের আগে সতীর্থদের ‍উপহার পাঠালেন মেসি

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৫৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪
  • / 49
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

মাঠ ও মাঠের বাইরে সতীর্থদের সঙ্গে ‍লিওনেল মেসির উষ্ণ সম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়। বিশেষত বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা দলের সতীর্থদের জন্য তার ভালোবাসা অগাধ। কোপা আমেরিকার ফাইনালে নামার আগে বিশেষ এই মুহূর্তে তাই মেসি কাজ করলেন আলবিসেলেস্তে নেতার মতোই। আর্জেন্টাইন স্কোয়াডের সবাইকে উপহার পাঠিয়ে তিনি চমকে দিয়েছেন। এর এমনটা দেখা গিয়েছিল ইন্টার মায়ামিতেও।

আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস এক প্রতিবেদনে বলছে, কলম্বিয়ার বিপক্ষে ফাইনালের আগে মেসি জাতীয় দলের সতীর্থদের জন্য বিশেষ উপহার পাঠিয়েছেন। সবাইকে আকাশী-সাদা রঙের হেডফোন উপহার দিয়েছেন আর্জেন্টিনার পতাকা বা জার্সির সঙ্গে মিল রেখে। দলের সতীর্থদের প্রতি মেসির এমন মানসিকতা নতুন নয়, যা তিনি এর আগে ক্লাবেও দেখিয়েছিলেন।

গত বছরের মাঝামাঝিতে আমেরিকান মেজর সকার ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন এই আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। লিগস কাপে মেক্সিকোর ক্লাব ক্রুজ আজুলের বিপক্ষে জয়ের পর তিনি মায়ামি সতীর্থদের জন্য এমনই উপহার পাঠান। মায়ামি থেকে এফসি সিনসিনাতিতে যোগ দেওয়া ফুটবলার ডিয়ান্দ্রে ইয়েডলিনের বরাতে টিওয়াইসি বলছে, ‘মেসির পক্ষ থেকে এই হেডফোন। সে আমাদের জন্য এগুলা বানিয়েছে। আমি জানি না সে কিনে এনেছে কি না, তবে ক্লাবে নিজের প্রথম ম্যাচের পরই আমাদের এই উপহার দেয়।’

সতীর্থদের দেওয়া হেডফোনে আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনের লোগো আঁকা রয়েছে। ফাইনালের আগে দলের সবাইকে এক থাকারই যেন বার্তা দিতে চাইলেন আর্জেন্টিনার এই প্রাণভোমরা। মায়ামির হার্ডরক স্টেডিয়ামে আগামীকাল (সোমবার) বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় ফাইনালে আলবিসেলেস্তে দলটি মোকাবিলা করবে কলম্বিয়ার। নিঃসন্দেহে ম্যাচটি বেশ রোমাঞ্চকর হতে চলেছে, উভয় দলই টুর্নামেন্টে অপরাজেয় থেকে ফাইনালে উঠেছে। আর্জেন্টিনার সামনে টানা দ্বিতীয় কোপার হাতছানি, একইসঙ্গে সর্বাধিক ১৬তম শিরোপা জিতে রেকর্ড গড়ারও সম্ভাবনা আছে। অন্যদিকে কোনো মেজর টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের লক্ষ্য হামেস রদ্রিগেজের কলম্বিয়ার।

ফাইনালে নামার আগে স্বদেশি সংবাদমাধ্যম ডি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি জানিয়েছেন, ‘কানাডার বিপক্ষে আমি শারীরিকভাবে খুবই ভালো অনুভব করেছি। এর আগে চিলির বিপক্ষে কিছুটা অস্বস্তি ছিল এবং সে কারণে ঠিকভাবে খেলতে পারিনি। আমার গতি কমে গিয়েছিল, যা আমাকে সামনে এগোনোর ক্ষেত্রে বিরক্ত করেছে। ইনজুরি কাটিয়ে উঠলেও, আমার সবকিছু যে ঠিকঠাক হয়নি সেটাই মাথায় গেঁথে আছে। শেষ ম্যাচে আমি ভয়হীন খেলেছি, আমি ভালো বোধ করছি এবং আশা করি ফাইনালেও এমনই থাকবে।’

এটাই শেষ ফাইনাল কি না এমন প্রশ্নে মেসি বলছেন, ‘এই মুহূর্তে এটা নিয়ে আমি ভাবছি না। আমি উপভোগের মন্ত্র নিয়ে আছি। কী ঘটছে, কী অর্জন করছি, এসব আমি দিন ধরে ধরে ভাবছি। জাতীয় দলের সঙ্গে আমার দুর্দান্ত সময় কেটেছে, আবার খারাপ সময়ও কেটেছে। এখন শুধু উপভোগের মধ্যে থাকতে চাই। যতক্ষণ না মনে হবে যে আমার আর কিছু করার নেই, ততক্ষণ পর্যন্ত এভাবেই চালিয়ে যাব।’

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

ফাইনালের আগে সতীর্থদের ‍উপহার পাঠালেন মেসি

আপডেট সময় : ১০:৫৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪

 

মাঠ ও মাঠের বাইরে সতীর্থদের সঙ্গে ‍লিওনেল মেসির উষ্ণ সম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়। বিশেষত বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা দলের সতীর্থদের জন্য তার ভালোবাসা অগাধ। কোপা আমেরিকার ফাইনালে নামার আগে বিশেষ এই মুহূর্তে তাই মেসি কাজ করলেন আলবিসেলেস্তে নেতার মতোই। আর্জেন্টাইন স্কোয়াডের সবাইকে উপহার পাঠিয়ে তিনি চমকে দিয়েছেন। এর এমনটা দেখা গিয়েছিল ইন্টার মায়ামিতেও।

আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস এক প্রতিবেদনে বলছে, কলম্বিয়ার বিপক্ষে ফাইনালের আগে মেসি জাতীয় দলের সতীর্থদের জন্য বিশেষ উপহার পাঠিয়েছেন। সবাইকে আকাশী-সাদা রঙের হেডফোন উপহার দিয়েছেন আর্জেন্টিনার পতাকা বা জার্সির সঙ্গে মিল রেখে। দলের সতীর্থদের প্রতি মেসির এমন মানসিকতা নতুন নয়, যা তিনি এর আগে ক্লাবেও দেখিয়েছিলেন।

গত বছরের মাঝামাঝিতে আমেরিকান মেজর সকার ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন এই আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। লিগস কাপে মেক্সিকোর ক্লাব ক্রুজ আজুলের বিপক্ষে জয়ের পর তিনি মায়ামি সতীর্থদের জন্য এমনই উপহার পাঠান। মায়ামি থেকে এফসি সিনসিনাতিতে যোগ দেওয়া ফুটবলার ডিয়ান্দ্রে ইয়েডলিনের বরাতে টিওয়াইসি বলছে, ‘মেসির পক্ষ থেকে এই হেডফোন। সে আমাদের জন্য এগুলা বানিয়েছে। আমি জানি না সে কিনে এনেছে কি না, তবে ক্লাবে নিজের প্রথম ম্যাচের পরই আমাদের এই উপহার দেয়।’

সতীর্থদের দেওয়া হেডফোনে আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনের লোগো আঁকা রয়েছে। ফাইনালের আগে দলের সবাইকে এক থাকারই যেন বার্তা দিতে চাইলেন আর্জেন্টিনার এই প্রাণভোমরা। মায়ামির হার্ডরক স্টেডিয়ামে আগামীকাল (সোমবার) বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় ফাইনালে আলবিসেলেস্তে দলটি মোকাবিলা করবে কলম্বিয়ার। নিঃসন্দেহে ম্যাচটি বেশ রোমাঞ্চকর হতে চলেছে, উভয় দলই টুর্নামেন্টে অপরাজেয় থেকে ফাইনালে উঠেছে। আর্জেন্টিনার সামনে টানা দ্বিতীয় কোপার হাতছানি, একইসঙ্গে সর্বাধিক ১৬তম শিরোপা জিতে রেকর্ড গড়ারও সম্ভাবনা আছে। অন্যদিকে কোনো মেজর টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের লক্ষ্য হামেস রদ্রিগেজের কলম্বিয়ার।

ফাইনালে নামার আগে স্বদেশি সংবাদমাধ্যম ডি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি জানিয়েছেন, ‘কানাডার বিপক্ষে আমি শারীরিকভাবে খুবই ভালো অনুভব করেছি। এর আগে চিলির বিপক্ষে কিছুটা অস্বস্তি ছিল এবং সে কারণে ঠিকভাবে খেলতে পারিনি। আমার গতি কমে গিয়েছিল, যা আমাকে সামনে এগোনোর ক্ষেত্রে বিরক্ত করেছে। ইনজুরি কাটিয়ে উঠলেও, আমার সবকিছু যে ঠিকঠাক হয়নি সেটাই মাথায় গেঁথে আছে। শেষ ম্যাচে আমি ভয়হীন খেলেছি, আমি ভালো বোধ করছি এবং আশা করি ফাইনালেও এমনই থাকবে।’

এটাই শেষ ফাইনাল কি না এমন প্রশ্নে মেসি বলছেন, ‘এই মুহূর্তে এটা নিয়ে আমি ভাবছি না। আমি উপভোগের মন্ত্র নিয়ে আছি। কী ঘটছে, কী অর্জন করছি, এসব আমি দিন ধরে ধরে ভাবছি। জাতীয় দলের সঙ্গে আমার দুর্দান্ত সময় কেটেছে, আবার খারাপ সময়ও কেটেছে। এখন শুধু উপভোগের মধ্যে থাকতে চাই। যতক্ষণ না মনে হবে যে আমার আর কিছু করার নেই, ততক্ষণ পর্যন্ত এভাবেই চালিয়ে যাব।’