ঢাকা ০৪:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে মুশফিকের যতো রেকর্ড

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৬:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪
  • / 44
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

৬ উইকেটে ৪৪৮ রান তুলে পাকিস্তান ইনিংস ঘোষণা করার পর রাওয়ালপিন্ডিতে ব্যাকফুটে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশি ব্যাটারদের দৃঢ়তায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে লাল-সবুজ বাহিনী।

পাকিস্তানের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের ১১ তম টেস্ট সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এর মাধ্যমে তিনি পেছনে ফেলেছেন ১০ টেস্ট সেঞ্চুরি করা তামিম ইকবালকে। ১২ সেঞ্চুরি নিয়ে মুশফিকের ওপরে এখন শুধুই মুমিনুল।

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে দেশের জার্সিতে ১৫ হাজার রানের ক্লাবে প্রবেশ করেছেন মুশফিক। এই ক্লাবের মাত্র দ্বিতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার তিনি। তার ওপরে রয়েছে তামিম। তবে এই ওপেনার দীর্ঘদিন দলের বাইরে থাকায় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি নিজে করে নেয়ার সুযোগ মুশফিকের সামনে।

১৫ হাজার ১৯২ আন্তর্জাতিক রান তামিমের। এখন পর্যন্ত দেশের হয়ে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৩৯১টি ম্যাচ খেলেছেন এই ওপেনার। মুশফিক ১৫ হাজার রান করতে খেলেছেন ৪৬২ ম্যাচ।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মুশফিকের আছে ১৯টি সেঞ্চুরি এবং ৮৩টি ফিফটি। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের চা-বিরতিতে যাওয়ার সময় মুশফিকের রান দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ১৪১-এ।

এই টেস্টে মুশফিক ছাড়িয়ে গেছেন দেশের বাইরে তামিম ইকবালের ৪ সেঞ্চুরির রেকর্ড। দেশের বাইরে ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার গলে ৩২১ বলে ২০০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন তিনি।

২০১৪ সালে কিংসটনে উইন্ডিজের বিপক্ষে করেন ২৪৩ বলে ১১৬ রান। ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে খেলেন ২৬০ বলে ১৫৯ রানের ইনিংস খেলেন। ফেব্রুয়ারিতে হায়দরাবাদে ভারতের বিপক্ষে ১২৭ রান করেন ২৬২ বলে। সবশেষ রাওয়ালপিন্ডিতে অপরাজিত আছেন ১৭৩ রানে।

টেস্টে ক্যারিয়ারে মিস্টার ডিপেন্ডেবলের ব্যাটিং গড় ৩৯ ছুঁই ছুঁই। তবে ২০২১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তা বেড়ে হয়েছে ৪৭-এর ওপরে। এই তিন বছরে টেস্টে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও মুশফিক। তার রান এক হাজার ৩৩৪।

মুশফিক টেস্টে ২১ বছর ধরে পাকিস্তানের মাটিতে বাংলাদেশি ব্যাটারের সেঞ্চুরি খরা কাটালেন। তার আগে পাকিস্তানের মাঠে টেস্টে সেঞ্চুরি ছিল হাবিবুল বাশার ও জাভেদ ওমরের। ২০০৩ সালে করাচি টেস্টে হাবিবুল ও পেশোয়ার টেস্টে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন জাভেদ।

অথচ আঙুলে ব্যথা নিয়ে রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন মুশফিক। মিস্টার ডিপেন্ডেবল তকমা দারুণ মানায় মুশফিকুর রহিমের গায়ে। দেড় যুগেরও বেশি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের হাত ধরে পাকিস্তানে রচিত হোক নতুন ইতিহাস।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে মুশফিকের যতো রেকর্ড

আপডেট সময় : ০৯:৪৬:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪

 

৬ উইকেটে ৪৪৮ রান তুলে পাকিস্তান ইনিংস ঘোষণা করার পর রাওয়ালপিন্ডিতে ব্যাকফুটে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশি ব্যাটারদের দৃঢ়তায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে লাল-সবুজ বাহিনী।

পাকিস্তানের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের ১১ তম টেস্ট সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এর মাধ্যমে তিনি পেছনে ফেলেছেন ১০ টেস্ট সেঞ্চুরি করা তামিম ইকবালকে। ১২ সেঞ্চুরি নিয়ে মুশফিকের ওপরে এখন শুধুই মুমিনুল।

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে দেশের জার্সিতে ১৫ হাজার রানের ক্লাবে প্রবেশ করেছেন মুশফিক। এই ক্লাবের মাত্র দ্বিতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার তিনি। তার ওপরে রয়েছে তামিম। তবে এই ওপেনার দীর্ঘদিন দলের বাইরে থাকায় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি নিজে করে নেয়ার সুযোগ মুশফিকের সামনে।

১৫ হাজার ১৯২ আন্তর্জাতিক রান তামিমের। এখন পর্যন্ত দেশের হয়ে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৩৯১টি ম্যাচ খেলেছেন এই ওপেনার। মুশফিক ১৫ হাজার রান করতে খেলেছেন ৪৬২ ম্যাচ।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মুশফিকের আছে ১৯টি সেঞ্চুরি এবং ৮৩টি ফিফটি। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের চা-বিরতিতে যাওয়ার সময় মুশফিকের রান দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ১৪১-এ।

এই টেস্টে মুশফিক ছাড়িয়ে গেছেন দেশের বাইরে তামিম ইকবালের ৪ সেঞ্চুরির রেকর্ড। দেশের বাইরে ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার গলে ৩২১ বলে ২০০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন তিনি।

২০১৪ সালে কিংসটনে উইন্ডিজের বিপক্ষে করেন ২৪৩ বলে ১১৬ রান। ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে খেলেন ২৬০ বলে ১৫৯ রানের ইনিংস খেলেন। ফেব্রুয়ারিতে হায়দরাবাদে ভারতের বিপক্ষে ১২৭ রান করেন ২৬২ বলে। সবশেষ রাওয়ালপিন্ডিতে অপরাজিত আছেন ১৭৩ রানে।

টেস্টে ক্যারিয়ারে মিস্টার ডিপেন্ডেবলের ব্যাটিং গড় ৩৯ ছুঁই ছুঁই। তবে ২০২১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তা বেড়ে হয়েছে ৪৭-এর ওপরে। এই তিন বছরে টেস্টে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও মুশফিক। তার রান এক হাজার ৩৩৪।

মুশফিক টেস্টে ২১ বছর ধরে পাকিস্তানের মাটিতে বাংলাদেশি ব্যাটারের সেঞ্চুরি খরা কাটালেন। তার আগে পাকিস্তানের মাঠে টেস্টে সেঞ্চুরি ছিল হাবিবুল বাশার ও জাভেদ ওমরের। ২০০৩ সালে করাচি টেস্টে হাবিবুল ও পেশোয়ার টেস্টে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন জাভেদ।

অথচ আঙুলে ব্যথা নিয়ে রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন মুশফিক। মিস্টার ডিপেন্ডেবল তকমা দারুণ মানায় মুশফিকুর রহিমের গায়ে। দেড় যুগেরও বেশি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের হাত ধরে পাকিস্তানে রচিত হোক নতুন ইতিহাস।