ফুটবল ছাড়লেন ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপজয়ী ভারান
- আপডেট সময় : ০৪:০১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / 38
ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ ও রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে একাধিকবার চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী রাফায়েল ভারান ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে গত জুলাইয়ে ইতালিয়ান সিরি আ–এর দল কোমোয় যোগ দেন ৩১ বছর বয়সী এই সেন্টারব্যাক।
কয়েক সপ্তাহ পর গত ১১ আগস্ট কোপা ইতালিয়ায় সাম্পদোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধে হাঁটুতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ভারান। গত মাসের শেষ দিকে তাঁকে ক্লাবের সিরি আ স্কোয়াড থেকে বাদ দেওয়া হয়। এরপর ফুটবল থেকে অবসরই নিয়ে ফেললেন ২০১৮ বিশ্বকাপজয়ী ভারান।
২০১৮ বিশ্বকাপে ফ্রান্সের হয়ে নিয়মিত মাঠে নেমেছেন ভারান। ইউনাইটেডে চুক্তির মেয়াদ পূরণের পর ফ্রি এজেন্ট হিসেবে এফসি কোমোয় যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ইউনাইটেডের হয়ে তিন মৌসুমে ৯৫ ম্যাচ খেলে ২ গোল করেছেন ভারান। জিতেছেন এফএ কাপ ও লিগ কাপ। কোমোয় দুই বছরের চুক্তি করেছিলেন। এর পাশাপাশি ক্লাবটিতে আরও এক মৌসুম চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ ছিল তাঁর।
রিয়াল মাদ্রিদে কাটানো ১০ মৌসুমের কারণেই ভারানকে বেশি মনে রেখেছেন সবাই। এ সময় ক্লাবটির হয়ে ৩৬০ ম্যাচ খেলে তিনবার লা লিগা ও চারবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন। এ ছাড়া উয়েফা সুপার কাপ, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপও জিতেছেন একাধিকবার। সব মিলিয়ে রিয়ালে ১৮টি শিরোপা জিতেছেন ভারান। ২০২১ সালের জুলাইয়ে রিয়াল ছেড়ে তিনি যোগ দেন ইউনাইটেডে। এরপর ২০২২-২৩ মৌসুমে লিগ কাপ ও গত মৌসুমে এফএ কাপ জেতেন ইউনাইটেডের হয়ে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে অবসর ঘোষণায় ভারান লিখেছেন, ‘সব ভালোরই শেষ আছে।’ ক্যারিয়ার নিয়ে ‘কোনো অনুশোচনা নেই’ বলেও তিনি জানিয়েছেন অবসর ঘোষণার এই স্ট্যাটাসে। ভারান সেখানে আরও লিখেছেন, ক্যারিয়ারের সব অর্জন ও স্মৃতি তাঁকে ‘বিপুল গর্ব ও পূর্ণতার অনুভূতি এনে দিয়েছে’।
ফরাসি ক্লাব লেঁসের বয়সভিত্তিক দল থেকে উঠে আসা ভারান ক্লাবটির সিনিয়র দলে খেলেছেন ২০১০-১১ মৌসুমে। এরপর ২০১১ সালে তিনি যোগ দেন রিয়ালে। ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জেতার পাশাপাশি ২০২১ সালে নেশনস লিগও জিতেছেন ভারান। জাতীয় দলের হয়ে ৯৩ ম্যাচে করেছেন ৫ গোল।
২০২৩ সালে ভারান বলেছিলেন, ঠাসা সূচির কারণে ফুটবল ‘বিপজ্জনক’ হয়ে উঠছে, ‘অনেক বছর ধরেই আমরা কোচ ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে অনেক ম্যাচের সূচি নিয়ে আলাপ করছি। একদম উপচে পড়া সূচি। খেলোয়াড়দের জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে এটি বিপজ্জনক।’ চলতি বছরের এপ্রিলে ভারান ফুটবল ম্যাচে একাধিকবার বলের আঘাতে ‘কনকাশন’–এর শিকার হওয়া নিয়ে মুখ খোলেন। হেড করার মাধ্যমে তাঁর শরীর কতটা ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে, সেটাও তিনি তখন জানিয়েছিলেন।
নিউজটি শেয়ার করুন