ঢাকা ০৪:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

এক বছরে ম্যানসিটির সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৯:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 14
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সাম্প্রতিক কয়েক বছরে মাঠের পারফরম্যান্সে অন্যতম সফল দল ম্যানচেস্টার সিটি। যদিও ইতিহাদের ক্লাবটি চলতি মৌসুমে দারুণ বিপর্যস্ত, চোট কবলিত স্কোয়াড নিয়ে সর্বশেষ ১০ ম্যাচে তারা কেবল একটিতে জিতেছে। এদিকে, গত এক বছরে সবচেয়ে বেশি আয় করেছে সিটি।

পেপ গার্দিওলার দলটি শেষ ১২ মাসে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৭১ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড আয় করেছে (পূর্বের রেকর্ড– ৭১ কোটি ২৮ লাখ পাউন্ড)।

২০২৩-২৪ মৌসুমে টানা চতুর্থবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়ে ম্যানসিটি। যার বদৌলতে ২.২ মিলিয়ন পাউন্ড থেকে তাদের আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১৫ মিলিয়ন পাউন্ডে। এর মধ্যে তাদের লাভ রয়েছে ৭৩.৮ মিলিয়ন পাউন্ড। তবে লাভের অঙ্ক হিসাব করলে, আগের বছরের চেয়ে সংখ্যাটি কমেছে।

গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও প্রিমিয়ার লিগসহ শিরোপার ট্রেবল জিতে লাভ আরও বেশি ছিল সিটির।

সিটির এই লাভের যাত্রাটা চলছে অনেক আগে থেকেই। ২০১৪-১৫ থেকে (কোভিড মহামারির ২০১৯-২০ মৌসুম বাদে) প্রতি মৌসুমেই লাভ করছে সিটি। গত বছরে নিজেদের রেকর্ড আয়ের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে খেলোয়াড় ও কর্মীদের বেতনখাতে ব্যয় কমার বিষয়টি।

বেতনবাবদ এই সময়ে সিটির ব্যয় এক কোটি তিন লাখ পাউন্ড কমে হয়েছে ৪১ কোটি ২৬ লাখ পাউন্ড। ফলে কর দেওয়ার আগে তাদের লভ্যাংশ দাঁড়িয়েছে সাত কোটি ৩৮ লাখ পাউন্ডে।

সিটির আয়ের এই উর্ধ্বগতি চলতি মৌসুম শেষে নাও থাকতে পারে। এর কারণ তাদের সাম্প্রতিক মাঠের পারফরম্যান্স। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে গত ১০ ম্যাচে তাদের জয় স্রেফ একটি। এই সময়ে সাতটিতে হার এবং দুটিতে ড্র করেছে।

দলের এই করুণ দশায় প্রিমিয়ার লিগের টেবিলে চতুর্থ স্থানে নেমে গেছে গার্দিওলার শিষ্যরা। এ ছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও তারা বাদ পড়ার শঙ্কায়, পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান ২২ নম্বরে।

এই মৌসুমে সিটির দুর্দশার পেছনে বেশকিছু কারণ রয়েছে। তার মধ্যে একটি চোটগ্রস্ত স্কোয়াড। গত মৌসুমের পারফরম্যান্সে ব্যালন ডি’অরজয়ী রদ্রিগো হার্নান্দেজ ছিটকে গেছেন এসিএল ইনজুরিতে।

এ ছাড়া চার সেন্টারব্যাক রুবেন দিয়াজ, জন স্টোন্স, ম্যানুয়েল আকাঞ্জি ও নাথান অ্যাকে–কে পাচ্ছেন না গার্দিওলা। কেভিন ডি ব্রুইনা ইনজুরি থেকে ফিরলেও স্বাভাবিক ছন্দে নেই।

এর বাইরে কাইল ওয়াকার, জ্যাক গ্রিলিশ, জেরেমি ডকু, অস্কার ববরা–ও ইনজুরিতে পড়েছেন। আবার মৌসুম শুরুর আগে হুলিয়ান আলভারেজ, জোয়াও কান্সেলো ও লিয়াম ডেলাপকে ছেড়ে দেয় সিটি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

এক বছরে ম্যানসিটির সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড

আপডেট সময় : ০৯:৪৯:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

 

সাম্প্রতিক কয়েক বছরে মাঠের পারফরম্যান্সে অন্যতম সফল দল ম্যানচেস্টার সিটি। যদিও ইতিহাদের ক্লাবটি চলতি মৌসুমে দারুণ বিপর্যস্ত, চোট কবলিত স্কোয়াড নিয়ে সর্বশেষ ১০ ম্যাচে তারা কেবল একটিতে জিতেছে। এদিকে, গত এক বছরে সবচেয়ে বেশি আয় করেছে সিটি।

পেপ গার্দিওলার দলটি শেষ ১২ মাসে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৭১ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড আয় করেছে (পূর্বের রেকর্ড– ৭১ কোটি ২৮ লাখ পাউন্ড)।

২০২৩-২৪ মৌসুমে টানা চতুর্থবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়ে ম্যানসিটি। যার বদৌলতে ২.২ মিলিয়ন পাউন্ড থেকে তাদের আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১৫ মিলিয়ন পাউন্ডে। এর মধ্যে তাদের লাভ রয়েছে ৭৩.৮ মিলিয়ন পাউন্ড। তবে লাভের অঙ্ক হিসাব করলে, আগের বছরের চেয়ে সংখ্যাটি কমেছে।

গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও প্রিমিয়ার লিগসহ শিরোপার ট্রেবল জিতে লাভ আরও বেশি ছিল সিটির।

সিটির এই লাভের যাত্রাটা চলছে অনেক আগে থেকেই। ২০১৪-১৫ থেকে (কোভিড মহামারির ২০১৯-২০ মৌসুম বাদে) প্রতি মৌসুমেই লাভ করছে সিটি। গত বছরে নিজেদের রেকর্ড আয়ের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে খেলোয়াড় ও কর্মীদের বেতনখাতে ব্যয় কমার বিষয়টি।

বেতনবাবদ এই সময়ে সিটির ব্যয় এক কোটি তিন লাখ পাউন্ড কমে হয়েছে ৪১ কোটি ২৬ লাখ পাউন্ড। ফলে কর দেওয়ার আগে তাদের লভ্যাংশ দাঁড়িয়েছে সাত কোটি ৩৮ লাখ পাউন্ডে।

সিটির আয়ের এই উর্ধ্বগতি চলতি মৌসুম শেষে নাও থাকতে পারে। এর কারণ তাদের সাম্প্রতিক মাঠের পারফরম্যান্স। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে গত ১০ ম্যাচে তাদের জয় স্রেফ একটি। এই সময়ে সাতটিতে হার এবং দুটিতে ড্র করেছে।

দলের এই করুণ দশায় প্রিমিয়ার লিগের টেবিলে চতুর্থ স্থানে নেমে গেছে গার্দিওলার শিষ্যরা। এ ছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও তারা বাদ পড়ার শঙ্কায়, পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান ২২ নম্বরে।

এই মৌসুমে সিটির দুর্দশার পেছনে বেশকিছু কারণ রয়েছে। তার মধ্যে একটি চোটগ্রস্ত স্কোয়াড। গত মৌসুমের পারফরম্যান্সে ব্যালন ডি’অরজয়ী রদ্রিগো হার্নান্দেজ ছিটকে গেছেন এসিএল ইনজুরিতে।

এ ছাড়া চার সেন্টারব্যাক রুবেন দিয়াজ, জন স্টোন্স, ম্যানুয়েল আকাঞ্জি ও নাথান অ্যাকে–কে পাচ্ছেন না গার্দিওলা। কেভিন ডি ব্রুইনা ইনজুরি থেকে ফিরলেও স্বাভাবিক ছন্দে নেই।

এর বাইরে কাইল ওয়াকার, জ্যাক গ্রিলিশ, জেরেমি ডকু, অস্কার ববরা–ও ইনজুরিতে পড়েছেন। আবার মৌসুম শুরুর আগে হুলিয়ান আলভারেজ, জোয়াও কান্সেলো ও লিয়াম ডেলাপকে ছেড়ে দেয় সিটি।