ঢাকা ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

আতাপাতুর ১৯৫ রানে ওয়ানডে জয়ের বিশ্বরেকর্ড গড়ল শ্রীলংকা

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৪০:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
  • / 69

মাত্র ১৩৫ বল মোকাবেলা করে ১৯৫ রানের ইনিংসে ৫টি ছক্কা ও ২৯টি চার মারেন চামারি আতাপাতু। ছবি: ক্রিকইনফো

ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

নারীদের ওয়ানডেতে ইতিহাস গড়ল শ্রীলঙ্কা। প্রথম দল হিসেবে ৩০০ বা তার বেশি রান তাড়া করে জয় পেয়েছে তারা। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩০২ রান তাড়া করে ৬ উইকেটে জিতেছে দলটি। এর আগে সর্বোচ্চ ২৮৯ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া নারী দলের।

পচেস্ট্রুমে এদিন দু’দলের অধিনায়কের সম্মিলিত রান ৩৭৯! ছেলে অথবা মেয়েদের ওয়ান ডে ক্রিকেটে এমন ঘটনা আগে কখনও দেখা যায়নি। সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে রেকর্ডের ছড়াছড়ি দেখা যায়। ম্যাচে অতিমানবিক ইনিংস খেলে শ্রীলংকাকে ঐতিহাসিক জয় এনে দেন অধিনায়ক আতাপাত্তু।

দুই অধিনায়কের অবিশ্বাস্য জোড়া শেষ হাসি হাসেন আতাপাতু। তিনি শ্রীলংকার হয়ে মেয়েদের একদিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের ব্যক্তিগত ইনিংস খেলেন। ভাঙেন নিজের পুরনো রেকর্ড। মেয়েদের ওয়ানডে ক্রিকেটের সার্বিক ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের ব্যক্তিগত ইনিংস খেলে সব থেকে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়তে সাহায্য করেন শ্রীলংকাকে।

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকার নারী ক্রিকেট দল। তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ৩০১ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। অধিনায়ক লরা উলভার্ট ওপেন করতে নেমে ১৪৭ বলে ১৮৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। তিনি ২৩টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে মেয়েদের ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড গড়েন উলভার্ট।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলংকা ৪৪.৩ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৩০৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ৩৩ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেট ম্যাচ জিতে ইতিহাস গড়ে দ্বীপরাষ্ট্র। কেননা মেয়েদের ওয়ানডে ক্রিকেটে এটিই সব থেকে বেশি রান তাড়া করে ম্যাচ জয়ের বিশ্বরেকর্ড।

আতাপাতু ১৩৯ বলে ১৯৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ২৬টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন। শ্রীলংকার হয়ে মেয়েদের ওয়ান ডে ক্রিকেটে এটিই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।

তিন ম্যাচ সিরিজ ১-১ ব্যবধানে শেষ হয়। এর আগে প্রথম ম্যাচ কোনো ফলাফল না হলে দ্বিতীয় ম্যাচ প্রোটিয়া নারীরা ৭ উইকেটে জেতে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

আতাপাতুর ১৯৫ রানে ওয়ানডে জয়ের বিশ্বরেকর্ড গড়ল শ্রীলংকা

আপডেট সময় : ০৯:৪০:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

 

নারীদের ওয়ানডেতে ইতিহাস গড়ল শ্রীলঙ্কা। প্রথম দল হিসেবে ৩০০ বা তার বেশি রান তাড়া করে জয় পেয়েছে তারা। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩০২ রান তাড়া করে ৬ উইকেটে জিতেছে দলটি। এর আগে সর্বোচ্চ ২৮৯ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া নারী দলের।

পচেস্ট্রুমে এদিন দু’দলের অধিনায়কের সম্মিলিত রান ৩৭৯! ছেলে অথবা মেয়েদের ওয়ান ডে ক্রিকেটে এমন ঘটনা আগে কখনও দেখা যায়নি। সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে রেকর্ডের ছড়াছড়ি দেখা যায়। ম্যাচে অতিমানবিক ইনিংস খেলে শ্রীলংকাকে ঐতিহাসিক জয় এনে দেন অধিনায়ক আতাপাত্তু।

দুই অধিনায়কের অবিশ্বাস্য জোড়া শেষ হাসি হাসেন আতাপাতু। তিনি শ্রীলংকার হয়ে মেয়েদের একদিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের ব্যক্তিগত ইনিংস খেলেন। ভাঙেন নিজের পুরনো রেকর্ড। মেয়েদের ওয়ানডে ক্রিকেটের সার্বিক ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের ব্যক্তিগত ইনিংস খেলে সব থেকে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়তে সাহায্য করেন শ্রীলংকাকে।

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকার নারী ক্রিকেট দল। তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ৩০১ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। অধিনায়ক লরা উলভার্ট ওপেন করতে নেমে ১৪৭ বলে ১৮৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। তিনি ২৩টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে মেয়েদের ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড গড়েন উলভার্ট।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলংকা ৪৪.৩ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৩০৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ৩৩ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেট ম্যাচ জিতে ইতিহাস গড়ে দ্বীপরাষ্ট্র। কেননা মেয়েদের ওয়ানডে ক্রিকেটে এটিই সব থেকে বেশি রান তাড়া করে ম্যাচ জয়ের বিশ্বরেকর্ড।

আতাপাতু ১৩৯ বলে ১৯৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ২৬টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন। শ্রীলংকার হয়ে মেয়েদের ওয়ান ডে ক্রিকেটে এটিই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।

তিন ম্যাচ সিরিজ ১-১ ব্যবধানে শেষ হয়। এর আগে প্রথম ম্যাচ কোনো ফলাফল না হলে দ্বিতীয় ম্যাচ প্রোটিয়া নারীরা ৭ উইকেটে জেতে।