সুন্দরবনের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী
গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- আপডেট সময় : ১১:১২:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪
- / 59
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রামে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকের পর অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় এ নির্দেশ দেন তিনি।
সূত্র জানায়, বৈঠকের শুরুতে মন্ত্রিসভার একজন সদস্য সেচ মৌসুম ও ধান কাটার সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে, বিশেষ করে গ্রামে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিদ্যুৎ বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে সুন্দরবনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সর্বশেষ পরিস্থিতি অবহিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আগুনের সর্বশেষ পরিস্থিতি কী– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুব হোসেন বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে আগুন শতভাগ নিভে গেছে, এমন নয়। আগামী কয়েক দিন এটি পর্যবেক্ষণে থাকবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বনের আগুন কিন্তু স্বাভাবিকভাবে নেভে না। আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে, নিভে গেছে। কিন্তু কোনো একটি লতা বা অন্য কিছু দিয়ে আগুনটা অনেক দূর চলে যাবে। নতুন করে আগুন জেগে ওঠে। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে অবহিত হয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ফায়ার সার্ভিসের টিম ওখানে গেছে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্থানীয় জনগণও কাজ করছে।
মাহবুব হোসেন বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ৫৫ সদস্য এবং দেড়শর বেশি স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন। দেড় থেকে দুই কিলোমিটার দূরে ছিল পানির উৎস। সেখান থেকে পাওয়ার পাম্পের মাধ্যমে পানি এনে ব্যবহার করা হয়েছে। গভীর জঙ্গল হওয়ায় রাতে কাজ করা যায় না। দিনে দিনে কাজ করতে হয়েছে। ওখানে অনেক ঝুঁকি ছিল। সব মিলিয়ে তারা খুব চ্যালেঞ্জিং কাজ করেছেন। তারা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।
এদিকে উজবেকিস্তানের সঙ্গে ১৯ বছর পর সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হচ্ছে। এ জন্য বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল-সংক্রান্ত চুক্তির খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ১৯৯৩ সালে একটি চুক্তির মাধ্যমে যাত্রা শুরু হলেও ২০০৫ সালে বন্ধ হয়ে যায়। এখন নতুনভাবে শুরু করার জন্য উজবেকিস্তানের পক্ষ থেকে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। দুই পক্ষ মিলে এই খসড়া করেছে। চুক্তির আওতায় ‘ফিফথ ফ্রিডম’ পাওয়া যাবে। ফিফথ ফ্রিডম হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশে বিমান নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে যাত্রী তোলা যাবে।
এ ছাড়া বৈঠকে ‘প্রত্নসম্পদ আইন, ২০২৪’-এর খসড়া উপস্থাপিত হলে কয়েকটি জায়গায় পরিমার্জনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরপর এটি পুনরায় মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রত্নসম্পদ-সংক্রান্ত ১৯৮৬ সালের একটি আইনকে পরিবর্তন করে বাংলায় করা হচ্ছে। বাংলাদেশে যত প্রত্নসম্পদ আছে, সেগুলোর সংজ্ঞায়ন, সংরক্ষণ, হস্তান্তর ও নিয়ন্ত্রণ করার বিষয় খসড়ায় আছে। নির্দেশনা অমান্য করলে শাস্তির বিধানও রাখা হয়েছে।
মাহবুব হোসেন আরও জানান, ‘জাতীয় পরিকল্পনা উন্নয়ন একাডেমি আইন, ২০২৪’-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়। আগের আইনকে পরিবর্তন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নতুন এ আইন করতে চেয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রিসভায় আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
নিউজটি শেয়ার করুন