দেড় কোটি মানুষ বিদ্যুৎহীন
ঘূর্ণিঝড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন : ৪৫ জেলার মোবাইল নেটওয়ার্কে সমস্যা
- আপডেট সময় : ১১:১৫:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪
- / 59
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে এরইমধ্যে দেশের ৪৫ জেলার মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের ৮ হাজার ৪১০টি সাইটে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে অচল হয়ে পড়েছে।
সোমবার (২৭ মে) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এসব এলাকায় বিদ্যুৎ পুনঃস্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উপকূলসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জেলাতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকার দরুণ মোবাইল অপারেটরদের সাইটগুলো হতে দুর্যোগকবলিত এলাকায় টেলিযোগাযোগ সেবা ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম ও তাদের সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে জনসাধারণের সঙ্গে টেলিযোগাযোগ সম্ভব হবে না।
এরইমধ্যে দেশের ৪৫ জেলার সব মোবাইল অপারেটরের ৮ হাজার ৪১০টি সাইটে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে অচল হয়ে পড়েছে। এসব সাইটে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন করা জরুরি।
এজন্য দুর্যোগ কবলিত এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এলাকায় দ্রুততম সময়ে বিদ্যুৎ পুনঃস্থাপনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
দেড় কোটি মানুষ বিদ্যুৎহীন
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দেশের উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় এক কোটি ৫৫ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডবের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এসব গ্রাহকের সরবরাহ বন্ধ রেখেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। অনেক স্থানে বিদ্যুৎবিহীন পরিস্থিতি ১৫-১৬ ঘণ্টা অতিক্রম করেছে। ঝড় থেমে গেলে সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে বসে আছেন বিদ্যুৎকর্মীরা।
আজ সোমবার (২৭ মে) বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) পরিচালক (কারিগরি) মো. রফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দুর্ঘটনা এড়াতে আজ সোমবার বেলা ১২টা পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এক কোটি ৫৫ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ঝড় কমে যাওয়ার পর দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করে দিতে আমাদের কর্মীরা প্রস্তুত। তবে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার প্রকৃত চিত্র এখনো জানা যায়নি।
এদিকে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারা বলছেন, উপকূলীয় কয়েকটি জেলার সাগর তীরবর্তী উপজেলাগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতার জোয়ারে তলিয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের লাইন চালু থাকলে জানমালের ক্ষতি হতে পারে। আবার বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রগুলো পানির নিচে তলিয়ে গেলে দীর্ঘমেয়াদে সেগুলোর ক্ষতি হতে পারে, যা মেরামত করতে অন্তত সাত দিন সময় প্রয়োজন। এসব দিক বিবেচনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
নিউজটি শেয়ার করুন