ঢাকা ০১:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

‘কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল অযৌক্তিক, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রহসন’

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৫৫:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪
  • / 80
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা পুনর্বহাল অযৌক্তিক ও মেধাবীদের সঙ্গে প্রহসন আখ্যা দিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম এক যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সাদেক আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৫ জুন হাইকোর্ট মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলসংক্রান্ত পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করার পর থেকে সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছেন। তারা সরকারি চাকরিতে কোটা-পদ্ধতি বাতিল, ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালসহ মোট চার দফা দাবি জানিয়েছেন। সরকার আদালতকে ব্যবহার করে একটি মীমাংসিত ইস্যুকে পুনরায় সামনে এনেছে। ছাত্রশিবির ছাত্রসমাজের সকল ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সবসময় শিক্ষার্থীদের পাশে ছিল এখনো আছে।

শিবির নেতারা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ছাত্রশিবির সর্বপ্রথম ১৯৯৬ সালে কোটা সংস্কার দাবি উত্থাপন করেছিল। এরপর ২০০৮ ও ২০১৩ সালে দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে আন্দোলন করেছে ছাত্রশিবির। এ জন্য ছাত্রশিবিরের অসংখ্য নেতাকর্মীকে পুলিশ ও ছাত্রলীগ কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। সেই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালে কোটা সংস্কারের এই দাবি সাধারণ শিক্ষার্থীদের গণদাবিতে পরিণত হয়।

শিবির নেতারা আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় লাগামহীন দুর্নীতি, অর্থপাচার, প্রশ্নপত্র ফাঁস আর লুটতরাজে জাতি আজ এক ক্রান্তিলগ্নে এসে উপনীত হয়েছে। শিক্ষিত তরুণ সমাজ বেকারত্বের ঘানি টানতে টানতে আজ দিশেহারা। এ পরিস্থিতিতে মেধাবীদেরকে মূল্যায়ন করে অনতিবিলম্বে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের মাধ্যমে বৈষম্য দূর করার দাবি জানাচ্ছি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

‘কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল অযৌক্তিক, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রহসন’

আপডেট সময় : ১০:৫৫:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪

 

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা পুনর্বহাল অযৌক্তিক ও মেধাবীদের সঙ্গে প্রহসন আখ্যা দিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম এক যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সাদেক আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৫ জুন হাইকোর্ট মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলসংক্রান্ত পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করার পর থেকে সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছেন। তারা সরকারি চাকরিতে কোটা-পদ্ধতি বাতিল, ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালসহ মোট চার দফা দাবি জানিয়েছেন। সরকার আদালতকে ব্যবহার করে একটি মীমাংসিত ইস্যুকে পুনরায় সামনে এনেছে। ছাত্রশিবির ছাত্রসমাজের সকল ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সবসময় শিক্ষার্থীদের পাশে ছিল এখনো আছে।

শিবির নেতারা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ছাত্রশিবির সর্বপ্রথম ১৯৯৬ সালে কোটা সংস্কার দাবি উত্থাপন করেছিল। এরপর ২০০৮ ও ২০১৩ সালে দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে আন্দোলন করেছে ছাত্রশিবির। এ জন্য ছাত্রশিবিরের অসংখ্য নেতাকর্মীকে পুলিশ ও ছাত্রলীগ কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। সেই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালে কোটা সংস্কারের এই দাবি সাধারণ শিক্ষার্থীদের গণদাবিতে পরিণত হয়।

শিবির নেতারা আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় লাগামহীন দুর্নীতি, অর্থপাচার, প্রশ্নপত্র ফাঁস আর লুটতরাজে জাতি আজ এক ক্রান্তিলগ্নে এসে উপনীত হয়েছে। শিক্ষিত তরুণ সমাজ বেকারত্বের ঘানি টানতে টানতে আজ দিশেহারা। এ পরিস্থিতিতে মেধাবীদেরকে মূল্যায়ন করে অনতিবিলম্বে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের মাধ্যমে বৈষম্য দূর করার দাবি জানাচ্ছি।