ঢাকা ১১:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

প্রথম সমাবেশেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ‘আক্রমণাত্মক’ কমলা হ্যারিস

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৪১:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪
  • / 44
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

নির্বাচনী প্রচারে নেমে প্রথম সমাবেশেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ‘আক্রমণাত্মক’ হয়ে উঠেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। নভেম্বরের নির্বাচনকে তিনি ‘সাবেক প্রসিকিউটর এবং দোষী সাব্যস্ত অপরাধীর মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়ার’ লড়াই হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউসের দৌড় থেকে নিজের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে তার ‘রানিং মেট’ কমলা হ্যারিসের নাম প্রস্তাব করেন ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে। তারপর এটিই ছিল হ্যারিসের প্রথম প্রচার সমাবেশ।

‘ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট’ উইসকনসিনে প্রায় তিন হাজার লোকের এই জমায়েতে নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে হ্যারিস হোয়াইট হাউসের দৌড়ে সামিল তার রিপাবলিকান প্রতিপক্ষের সঙ্গে তুলনা করেছেন প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে একসময় মামলা লড়েছিলেন তিনি (কমলা হ্যারিস)।

এদিকে ট্রাম্পও অবশ্য নিশানা করতে ছাড়েননি কমালা হ্যারিসকে। ইতোমধ্যে সীমান্তে তার কাজ নিয়ে আক্রমণ করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন- ‘মিথ্যুক কমলা হ্যারিস যা স্পর্শ করেন তা ধ্বংস করে দেন!’

বাইডেনের প্রশাসনের প্রথম দিকে, মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তে অভিবাসন সংকটের মূল কারণগুলো মোকাবিলা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল হ্যারিসকে। কিন্তু তার কাজ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাকে। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে আবারও সরব ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রচার শিবির।

এদিকে ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক জরিপের উল্লেখ করে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে ‘অজনপ্রিয়’ ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিস।

প্রথম সমাবেশের ভাষণে উদারপন্থী নীতির উল্লেখ করেছেন হ্যারিস। সেই তালিকায় রয়েছে বন্দুক নিয়ন্ত্রণ এবং গর্ভপাত সংক্রান্ত বিষয়, দারিদ্রে থাকা শিশু, ইউনিয়নের অধিকার এবং সাশ্রয়ী মূল্যের স্বাস্থ্যসেবার মতো একাধিক ইস্যু।

‘আমরা কী ধরনের দেশে বাস করতে চাই? যেখানে স্বাধীনতা আছে, সহমর্মিতা আছে, আছে আইনের শাসন সেরকম একটি দেশে? নাকি এমন দেশে যেখানে আছে শুধুই বিশৃঙ্খলা, ভয় আর ঘৃণার পরিবেশ,’ বলেন কমলা হ্যারিস।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

প্রথম সমাবেশেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ‘আক্রমণাত্মক’ কমলা হ্যারিস

আপডেট সময় : ০৮:৪১:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪

 

নির্বাচনী প্রচারে নেমে প্রথম সমাবেশেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ‘আক্রমণাত্মক’ হয়ে উঠেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। নভেম্বরের নির্বাচনকে তিনি ‘সাবেক প্রসিকিউটর এবং দোষী সাব্যস্ত অপরাধীর মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়ার’ লড়াই হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউসের দৌড় থেকে নিজের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে তার ‘রানিং মেট’ কমলা হ্যারিসের নাম প্রস্তাব করেন ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে। তারপর এটিই ছিল হ্যারিসের প্রথম প্রচার সমাবেশ।

‘ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট’ উইসকনসিনে প্রায় তিন হাজার লোকের এই জমায়েতে নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে হ্যারিস হোয়াইট হাউসের দৌড়ে সামিল তার রিপাবলিকান প্রতিপক্ষের সঙ্গে তুলনা করেছেন প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে একসময় মামলা লড়েছিলেন তিনি (কমলা হ্যারিস)।

এদিকে ট্রাম্পও অবশ্য নিশানা করতে ছাড়েননি কমালা হ্যারিসকে। ইতোমধ্যে সীমান্তে তার কাজ নিয়ে আক্রমণ করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন- ‘মিথ্যুক কমলা হ্যারিস যা স্পর্শ করেন তা ধ্বংস করে দেন!’

বাইডেনের প্রশাসনের প্রথম দিকে, মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তে অভিবাসন সংকটের মূল কারণগুলো মোকাবিলা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল হ্যারিসকে। কিন্তু তার কাজ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাকে। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে আবারও সরব ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রচার শিবির।

এদিকে ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক জরিপের উল্লেখ করে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে ‘অজনপ্রিয়’ ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিস।

প্রথম সমাবেশের ভাষণে উদারপন্থী নীতির উল্লেখ করেছেন হ্যারিস। সেই তালিকায় রয়েছে বন্দুক নিয়ন্ত্রণ এবং গর্ভপাত সংক্রান্ত বিষয়, দারিদ্রে থাকা শিশু, ইউনিয়নের অধিকার এবং সাশ্রয়ী মূল্যের স্বাস্থ্যসেবার মতো একাধিক ইস্যু।

‘আমরা কী ধরনের দেশে বাস করতে চাই? যেখানে স্বাধীনতা আছে, সহমর্মিতা আছে, আছে আইনের শাসন সেরকম একটি দেশে? নাকি এমন দেশে যেখানে আছে শুধুই বিশৃঙ্খলা, ভয় আর ঘৃণার পরিবেশ,’ বলেন কমলা হ্যারিস।