ঢাকা ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসলামের জন্য ছেড়েছিলেন অভিনয় ॥ দেড় বছরের মাথায় ফের অন্তঃসত্ত্বা সানা খান Logo কলার খোসা রোজ লাগান, যৌবন উপচে পড়বে Logo শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরীমনি এবং দ্রুত প্রস্থান Logo যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দল জানালেন, কেমন পুরুষকে বিয়ে করলে আপনি সুখী হতে পারবেন Logo বিবাহিত অথচ স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমান যে দেশে Logo সাভারে কাপড়ের গোডাউনে আগুন, দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে Logo শাকিবের সাক্ষাতে মুগ্ধতা যেন কাটতে চাইছে না সৌমিতৃষার Logo ৫৩ ঘণ্টা পর শ্রমিক অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক Logo পাচার অর্থ উদ্ধারে নিয়োগ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ল ফার্ম Logo তিন দিনের সফরে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

 

সুদানে বাঁধ ধসে মৃত্যু ৬০ -নিখোঁজ শতাধিক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:০৯:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪
  • / 54
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

পূর্ব সুদানে আরবাত বাঁধ ভেঙে ভয়াবহ বন্যা হয়ে অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজের সংখ্যা শতাধিক।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দ্য রেড সি স্টেটস ওয়াটার করপোরেশনের ওমর ইসা তাহির বলেন, বাঁধ ভেঙে দেশটির রাজধানী পোর্ট সুদানের কাছাকাছি গ্রামগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে।

বাঁধ এলাকা ও আশেপাশের গ্রামগুলোতে জরুরি সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।

তাহির বলেন, বন্যায় যারা আটকে পড়েছে তাদের আগে সরিয়ে নিতে হবে। উদ্ধারকারী দল বর্তমানে তাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য কাজ করছে।

স্থানীয় গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বাঁধ ধসে ভয়াবহ বন্যায় আশেপাশের গ্রামগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। সেসব এলাকায় উদ্ধার কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

পোর্ট সুদান থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত এই বাঁধ। এতে ২৫ মিলিয়ন ঘনমিটার পানি ধারণ করা যেত যা শহরের পানির অন্যতম প্রধান উৎস ছিল।

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, জুন থেকে ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যায় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে প্রায় ৩ লাখ ১৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বৃষ্টিপাত ও বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা জানিয়েছে সুদানের আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ।

সুদানে প্রায় প্রতি বছরই জুন থেকে অক্টোবরের মধ্যে বন্যা হয়ে থাকে। দেশটিতে চলমান সংঘাতের মধ্যে এই ভয়াবহ বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে প্রাণহানি ও কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল দেশটিতে শুরু হওয়া সশস্ত্র ও বেসামরিক বাহিনীর মধ্যকার সংঘাতের ফলে কমপক্ষে ১৬ হাজার ৬৫০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। জাতিসংঘের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, এখন সুদানে বাস্তুচ্যুত অবস্থায় আছে আনুমানিক ১০.৭ মিলিয়ন মানুষ। আর প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ২.২ মিলিয়ন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

সুদানে বাঁধ ধসে মৃত্যু ৬০ -নিখোঁজ শতাধিক

আপডেট সময় : ০৫:০৯:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪

 

পূর্ব সুদানে আরবাত বাঁধ ভেঙে ভয়াবহ বন্যা হয়ে অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজের সংখ্যা শতাধিক।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দ্য রেড সি স্টেটস ওয়াটার করপোরেশনের ওমর ইসা তাহির বলেন, বাঁধ ভেঙে দেশটির রাজধানী পোর্ট সুদানের কাছাকাছি গ্রামগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে।

বাঁধ এলাকা ও আশেপাশের গ্রামগুলোতে জরুরি সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।

তাহির বলেন, বন্যায় যারা আটকে পড়েছে তাদের আগে সরিয়ে নিতে হবে। উদ্ধারকারী দল বর্তমানে তাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য কাজ করছে।

স্থানীয় গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বাঁধ ধসে ভয়াবহ বন্যায় আশেপাশের গ্রামগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। সেসব এলাকায় উদ্ধার কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

পোর্ট সুদান থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত এই বাঁধ। এতে ২৫ মিলিয়ন ঘনমিটার পানি ধারণ করা যেত যা শহরের পানির অন্যতম প্রধান উৎস ছিল।

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, জুন থেকে ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যায় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে প্রায় ৩ লাখ ১৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বৃষ্টিপাত ও বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা জানিয়েছে সুদানের আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ।

সুদানে প্রায় প্রতি বছরই জুন থেকে অক্টোবরের মধ্যে বন্যা হয়ে থাকে। দেশটিতে চলমান সংঘাতের মধ্যে এই ভয়াবহ বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে প্রাণহানি ও কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল দেশটিতে শুরু হওয়া সশস্ত্র ও বেসামরিক বাহিনীর মধ্যকার সংঘাতের ফলে কমপক্ষে ১৬ হাজার ৬৫০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। জাতিসংঘের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, এখন সুদানে বাস্তুচ্যুত অবস্থায় আছে আনুমানিক ১০.৭ মিলিয়ন মানুষ। আর প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ২.২ মিলিয়ন।