ঢাকা ১০:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার লেশমাত্র অবশিষ্ট নেই: মির্জা ফখরুল

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৪৬:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪ ৪৮ বার পড়া হয়েছে
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা ঐক্যের কথা বলি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলি– কিন্তু সেই চেতনার এখন লেশমাত্র অবশিষ্ট নেই। যার জন্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরীরা লড়াই করছিলেন।’

শনিবার (২১ জুলাই) বিকালে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক নাগরিক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। গত বছরের ১১ এপ্রিল ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

মির্জা ফখরুল বলেন, সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যদি আবার আমাদের ফিরিয়ে আনতে হয়, বাংলাদেশকে যদি সত্যিকার অর্থে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে আমরা পরিণত করতে চাই, তাহলে এখন অবশ্যই সকলকে নতুন করে চিন্তা করে নতুনভাবে বলীয়ান হয়ে জাফরুল্লাহ ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় বেরিয়ে আসতে হবে।

দেশে কঠিন দুঃসময় চলছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আসুন আমরা এই প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করি… কে কী বললো সেটা ভাবার দরকার নেই, আমাদের মধ্যে যে আশা, যে আকাঙ্ক্ষা আছে আমরা যারা একাত্তর সালে যুদ্ধ করেছি, আমরা যারা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছি, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য যারা প্রাণ দিয়েছি, যারা গুম হয়েছে তাদের সকলকে সেই সম্মানটুকু দেওয়ার জন্যে আমাদের আজকে একটামাত্র দায়িত্ব, সেটা হচ্ছে… আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।’

গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু‘র সঞ্চালনায় নাগরিক সমাজের মধ্যে ব্র্যাকের হোসেন জিল্লুর রহমান, সুজনের বদিউল আলম মজুমদার, ব্রতীর শারমিন মুরশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, এফবিবিআইয়ের আবদুল হক, মানবাধিকারকর্মী ব্যারিস্টার সারা হোসেন, বেলা‘র সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, ‘মায়ের ডাক’-এর সানজিদা ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির তানিয়া রব, গণঅধিকার পরিষদের নূরুল হক নূর, মিয়া মশিউজ্জামান।

নাগরিক স্মরণ সভায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সহধর্মিণী শিরিন হক, মেয়ে বৃষ্টি চৌধুরী ও ছেলে বারিশ চৌধুরীসহ আত্মীয়-স্বজনরা এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার লেশমাত্র অবশিষ্ট নেই: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ১১:৪৬:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা ঐক্যের কথা বলি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলি– কিন্তু সেই চেতনার এখন লেশমাত্র অবশিষ্ট নেই। যার জন্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরীরা লড়াই করছিলেন।’

শনিবার (২১ জুলাই) বিকালে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক নাগরিক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। গত বছরের ১১ এপ্রিল ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

মির্জা ফখরুল বলেন, সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যদি আবার আমাদের ফিরিয়ে আনতে হয়, বাংলাদেশকে যদি সত্যিকার অর্থে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে আমরা পরিণত করতে চাই, তাহলে এখন অবশ্যই সকলকে নতুন করে চিন্তা করে নতুনভাবে বলীয়ান হয়ে জাফরুল্লাহ ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় বেরিয়ে আসতে হবে।

দেশে কঠিন দুঃসময় চলছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আসুন আমরা এই প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করি… কে কী বললো সেটা ভাবার দরকার নেই, আমাদের মধ্যে যে আশা, যে আকাঙ্ক্ষা আছে আমরা যারা একাত্তর সালে যুদ্ধ করেছি, আমরা যারা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছি, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য যারা প্রাণ দিয়েছি, যারা গুম হয়েছে তাদের সকলকে সেই সম্মানটুকু দেওয়ার জন্যে আমাদের আজকে একটামাত্র দায়িত্ব, সেটা হচ্ছে… আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।’

গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু‘র সঞ্চালনায় নাগরিক সমাজের মধ্যে ব্র্যাকের হোসেন জিল্লুর রহমান, সুজনের বদিউল আলম মজুমদার, ব্রতীর শারমিন মুরশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, এফবিবিআইয়ের আবদুল হক, মানবাধিকারকর্মী ব্যারিস্টার সারা হোসেন, বেলা‘র সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, ‘মায়ের ডাক’-এর সানজিদা ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির তানিয়া রব, গণঅধিকার পরিষদের নূরুল হক নূর, মিয়া মশিউজ্জামান।

নাগরিক স্মরণ সভায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সহধর্মিণী শিরিন হক, মেয়ে বৃষ্টি চৌধুরী ও ছেলে বারিশ চৌধুরীসহ আত্মীয়-স্বজনরা এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।